১৫ যিলহজ ১৪২১ হিজরি, মোতাবেক ১৮ মার্চ ২০০১ ঈসায়িতে মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ নেয়ামতুল্লাহ সাহেব (প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রিন্সিপাল : জামিয়া আশরাফুল উলূম করাচি,পাকিস্তান) মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। অতি ক্ষুদ্র পরিসর থেকে শুরু করে মাদরাসাটি বর্তমানে জামিয়া পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে,আলহামদু লিল্লাহ।
কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য মুসলিম সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষায় সুশিক্ষিত হওয়া যেমন প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কাছে কুরআন ও হাদীসের পয়গাম এবং ইলমে দ্বীনের সঠিক আদর্শ পৌঁছে দেওয়া। এজন্য দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি যুগের চাহিদা পূরণে সাধারণ শিক্ষা অর্জনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সুমহান লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে জামিয়া সাহবানিয়ার প্রতিষ্ঠা,যেন সমাজের সর্বস্তরে যোগ্যতাসম্পন্ন এমন কিছু মুত্তাকি আলেমে দ্বীন তৈরি হয়,যারা ইখলাসের সাথে ইলমে দ্বীনের পথে নিজেরা চলবে,অন্যকে চালাবে এবং ইসলামের সঠিক আদর্শ রক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি সঠিক দ্বীনি তা’লীম ও আখলাকি তারবিয়াতের মাধ্যমে আল্লাহওয়ালা তৈরির একটি রূহানি খানকা।
জামিয়া সাহবানিয়ার প্রাণপুরুষ মুফতি মুহাম্মাদ নেয়ামতুল্লাহ সাহেব দামাত বারাকাতুহুমের শাইখ ও মুরশিদ, উপমহাদেশের প্রখ্যাত দ্বীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলূম করাচির সুদীর্ঘ চল্লিশ বছরের নাযেমে ‘আলা, প্রতিথযশা বুযুর্গ, শাইখুল হাদীস আল্লামা সাহবান মাহমূদ রহমাতুল্লাহি আলাইহির নামের সাথে সম্পৃক্ত করে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয় ‘দারুল উলূম সাহবানিয়া মাদরাসা’। দীর্ঘ একযুগ দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দেওয়ার পর জামিয়া পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে বিগত ১৪৩৫/৩৬ হি. শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় ‘জামিয়া সাহবানিয়া দারুল উলূম’।