skip to Main Content
বুধবার, ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৬ হিজরি,২৪ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
বিকাল ৫:৩১
জামিয়া সাহবানিয়ার পরিচিতি
প্রতিষ্ঠা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

১৫ যিলহজ ১৪২১ হিজরি, মোতাবেক ১৮ মার্চ ২০০১ ঈসায়িতে মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ নেয়ামতুল্লাহ সাহেব (প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রিন্সিপাল : জামিয়া আশরাফুল উলূম করাচি,পাকিস্তান) মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠা করেন। অতি ক্ষুদ্র পরিসর থেকে শুরু করে মাদরাসাটি বর্তমানে জামিয়া পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে,আলহামদু লিল্লাহ।
কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য মুসলিম সন্তানদের দ্বীনি শিক্ষায় সুশিক্ষিত হওয়া যেমন প্রয়োজন, তেমনই প্রয়োজন পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের কাছে কুরআন ও হাদীসের পয়গাম এবং ইলমে দ্বীনের সঠিক আদর্শ পৌঁছে দেওয়া। এজন্য দ্বীনি শিক্ষার পাশাপাশি যুগের চাহিদা পূরণে সাধারণ শিক্ষা অর্জনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সুমহান লক্ষ্য বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে জামিয়া সাহবানিয়ার প্রতিষ্ঠা,যেন সমাজের সর্বস্তরে যোগ্যতাসম্পন্ন এমন কিছু মুত্তাকি আলেমে দ্বীন তৈরি হয়,যারা ইখলাসের সাথে ইলমে দ্বীনের পথে নিজেরা চলবে,অন্যকে চালাবে এবং ইসলামের সঠিক আদর্শ রক্ষায় নিবেদিতপ্রাণ থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি সঠিক দ্বীনি তা’লীম ও আখলাকি তারবিয়াতের মাধ্যমে আল্লাহওয়ালা তৈরির একটি রূহানি খানকা।

একনজরে জামিয়া
প্রতিষ্ঠা...২০০১ইং
প্রতিষ্ঠাতা...মুফতি মুহাম্মাদ নেয়ামতুল্লাহ
মোট শিক্ষার্থী সংখ্যা...৬৪৫
মোট শিক্ষক/শিক্ষিকা...৭০
স্টাফ সংখ্যা...১২
হিফয সম্পন্নকারী ছাত্র...১৮৬
হিফয সম্পন্নকারী ছাত্রী...৩৩
দাওরায়ে হাদীস সম্পন্নকারী ছাত্র...১৮
দাওরায়ে হাদীস সম্পন্নকারী ছাত্রী...
প্রতিষ্ঠানের নামকরণ ও নাম পরিবর্তন

জামিয়া সাহবানিয়ার প্রাণপুরুষ মুফতি মুহাম্মাদ নেয়ামতুল্লাহ সাহেব দামাত বারাকাতুহুমের শাইখ ও মুরশিদ, উপমহাদেশের প্রখ্যাত দ্বীনি বিদ্যাপীঠ দারুল উলূম করাচির সুদীর্ঘ চল্লিশ বছরের নাযেমে ‘আলা, প্রতিথযশা বুযুর্গ, শাইখুল হাদীস আল্লামা সাহবান মাহমূদ রহমাতুল্লাহি আলাইহির নামের সাথে সম্পৃক্ত করে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে প্রতিষ্ঠানটির নাম দেওয়া হয় ‘দারুল উলূম সাহবানিয়া মাদরাসা’। দীর্ঘ একযুগ দ্বীনি খেদমত আঞ্জাম দেওয়ার পর জামিয়া পর্যায়ের কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে বিগত ১৪৩৫/৩৬ হি. শিক্ষাবর্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানের নাম দেওয়া হয় ‘জামিয়া সাহবানিয়া দারুল উলূম’।

জামিয়ার বৈশিষ্ট
আসাতেযায়ে কেরামের সম্মিলিত প্রচেষ্টা ও সুনির্দিষ্ট মেহনতের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার চেষ্টা করা হয়।
প্রত্যেক তালিবে ইলমের লেখা-পড়ার উন্নতি-অবনতির তদারকির জন্য বিভাগভিত্তিক নেগরান উস্তাদের ব্যবস্থা রয়েছে।
তালিবে ইলমদের আমল, আখলাক ও পড়াশুনার প্রতি লক্ষ রাখার জন্য আসাতেযায়ে কেরাম সার্বক্ষণিক নেগরানিতে নিয়োজিত থাকেন।
প্রত্যেক তালিবে ইলমের দৈনন্দিন, সাপ্তাহিক, মাসিক ও বার্ষিক লেখা-পড়া ও আখলাকি রিপোর্ট সংগ্রহের জন্য রয়েছে নামভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন ফাইল তৈরির ব্যবস্থা।
সকল বিভাগের তালিবে ইলমের মাসিক রিপোর্ট অভিভাবকের নিকট পেশ করার ব্যবস্থা রয়েছে।
পড়া-লেখার উন্নতি সাধনের সম্ভাব্য চেষ্টার পাশাপাশি পরিচ্ছন্ন পরিবেশে শিক্ষার্থীদের থাকা এবং মানসম্মত খাওয়া-দাওয়ার প্রতি লক্ষ রাখার চেষ্টা করা হয়।
নিজ গবেষণালব্ধ নীতিমালায় নয়; বরং আকাবিরে দেওবন্দের তৈরি নীতিমালার আলোকে পরিচালিত।
ইলমে দ্বীনের শিক্ষায় সুশিক্ষিত, যোগ্য আলেমে দ্বীনের পাশাপাশি সাধারণ শিক্ষায় যোগ্যতাসম্পন্ন দ্বীনদার আসাতেযায়ে কেরাম দ্বারা শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত।
তালিবে ইলমদের যথাযথ তা‘লীম ও তারবিয়াত প্রদানে অভিভাবকের করণীয় সম্পর্কে আকাবিরীনদের মূল্যবান হেদায়াত পেশ করার জন্য সময়ে সময়ে অভিভাবক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রতিটি বিষয় সমাধানের জন্য রয়েছে মশওয়ারাভিত্তিক ফায়সালার নেযাম।
শিক্ষার্থীদের রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তা দানের জন্য সম্ভাব্য চেষ্টা ও সুব্যবস্থা রয়েছে।
আসাতেযায়ে কেরামের বড় একটি জামাত তালিবে ইলমদের তা‘লীম ও তারবিয়াত নিয়ে ফিকির করেন। মাদরাসার অবশিষ্ট বিষয়াদির তদারকির জন্য ফিকির করেন আসাতেযায়ে কেরামের ভিন্ন আরেকটি জামাত।
Back To Top